সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। সংশোধিত এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কোনো কর্মচারী আন্দোলন করে অন্য সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দিলে বা কাজ থেকে বিরত রাখলে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে। বুধবার এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে সরকারের ‘বৈধ আদেশ’ অমান্য করাকে ‘সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশোধিত অধ্যাদেশের ৩৭ ধারায় ‘সরকারি কর্মচারীদের আচরণ ও দণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ বিধানে’ বলা হয়েছে, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন, আইনসংগত কারণ ছাড়া সরকারের কোনো আদেশ, পরিপত্র এবং নির্দেশ অমান্য করেন বা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেন বা এসব কাজে অন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে প্ররোচিত করেন, তাহলে সেটি সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিকারী ‘অসদাচরণ’ গণ্য হবে।
একইভাবে, ছুটি বা যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত সরকারের অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে কাজে অনুপস্থিত বা বিরত থাকেন কিংবা অন্য কর্মচারীদের কাজ করতে বাধা দেন, তাহলে সেটিও ‘অসদাচরণ’ বলে বিবেচিত হবে।
এ ধরনের অসদাচরণের জন্য শাস্তি হিসেবে সরকারি চাকরিজীবীদের নিম্নপদে বা নিম্নবেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া, বাধ্যতামূলক অবসর, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া শাস্তি নিশ্চিতে এক সদস্যের বদলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। কমিটিতে একজন নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রয়েছে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও। তবে আগের অধ্যাদেশের মতো রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ সংশোধিত অধ্যাদেশে রাখা হয়নি।
খুলনা গেজেট/এএজে